কাঁচা ডুমুর খাওয়ার ৯ টি উপকারিতা-ডুমুর ফলের পুষ্টি উপাদান

কাচা ডুমুর খাওয়ার ৯ টি উপকার ও ডুমুরে থাকা সকল পুষ্টি উপাদান এবং এটি খাওয়ার নিয়ম অতিরিক্ত ডুমুর খেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে সবকিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব এই আর্টিকেল টিতে বিস্তারিত জানতে সঙ্গে থাকুন।
কাঁচা ডুমরে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা নিয়মিত খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের জন্য উপকার। কারণ কাঁচা ডুমরে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রনের মত খনিজ পদার্থ চলুন নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

পেইজ সূচিপত্রঃ কাঁচা ডুমুর খাওয়ার ৯ টি উপকারিতা-ডুমুর ফলের পুষ্টি উপাদান

কাঁচা ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা ডুমুর সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। ডুমুরের মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ এর মত পুষ্টি উপাদান এবং এতে আরো রয়েছে আয়রনের মত খনিজ পদার্থ। যা বিভিন্ন উপায়ে আমাদের সুস্থ থাকার জন্য সহযোগিতা করে থাকে এবং আমাদের সুস্থ রাখে। 

কাঁচা ডুমুর নিয়মিত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এছাড়াও শরীরের ওজন কমাতে চাইলে কাঁচা ডুমুর খাওয়া বিকল্প নেই তাই আপনি যদি ডায়েট করতে চান তাহলে আপনার খাবারের তালিকায় কাঁচা ডুমুর রাখতে পারেন। এছাড়াও কাঁচা ডুমুর হার্ট সুস্থ রাখে। ডুমুরে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম

ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম আমরা অনেকে হয়তো জানিনা। কিন্তু কোন কিছু খাওয়ার পূর্বে সেটা সম্পর্কে সঠিক নিয়ম-কানুন গুলো জেনে থাকা ভালো নয়তো উপকারী উপাদানগুলো আমাদের কাছে অপকারের কারণ হতে পারে তাই সঠিক নিয়ম মেনে ডুমুর ফল খাওয়া উচিত। চলুন ডুমুর ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা যাক। 

ডুমুর এমন একটি ফল যেটা আমরা চাইলে কাঁচা খেতে পারি অথবা আমরা চাইলে ডুমুর ফল রান্না করেও খেতে পারি। কাঁচা ডুমুর খাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা ছোট ডুমুর গুলো ভালোভাবে ধুয়ে খেতে পারি এবং আমরা যদি ডুমুর রান্না করে খাই সেক্ষেত্রে আমরা উপরের অংশটুকু কেটে নিয়ে রান্না করে খেতে পারি দুইটাই আমাদের জন্য বেশ উপকারী। 


এছাড়াও আমরা চাইলে ডুমুর মিষ্টি জাতীয় খাদ্যের সঙ্গে খেতে পারি। এছাড়াও ডুমুরের পাউডার তৈরি করে কেক ও পানিসহ বিভিন্ন রকমের মিষ্টি জাতীয় খাবারে ব্যবহার করে খেতে পারি। এছাড়াও আমরা চাইলে ডুমুর পেস্ট করে মধু মিশ্রিত করে খেতে পারি এতে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা ডুমুর আমরা চিবিয়ে খেতে পারি। 

ডুমুর কেটে আমরা সালাত করে খেতে পারি এছাড়াও ডুমুরের ভর্তা অনেক সুস্বাদু একটি খাবার। হ্যাঁ আমরা চাইলে ডুমুরের ভর্তা খেতে পারি, সে ক্ষেত্রে প্রথমে আমাদের ডুমুর ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে। সিদ্ধ করা ডুমুর পেস্ট করে নিতে হবে এবং এর সঙ্গে পেঁয়াজ কুচি, জিরা ভাজা, শুকনো মরিচ ভাজা, সরিষার তেল এবং লবণ অথবা বিপ্লবণ দিয়ে ভর্তা করে খেতে পারি।

এছাড়াও আমরা চাইলে ডুমুর ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। দুটো ডুমুর দুটো বাদাম সন্ধ্যায় ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে পানি সহ ডুমুর ও বাদাম খেলে শরীরের ওজন কমে যায়। এছাড়াও ডুমুর ভাজি হিসেবে খাওয়া যায় এটি অনেক সুস্বাদু একটু খাবার। কাঁচা ডুমুর সব সময় পাওয়া যায় না তাই ডুমুর শুকিয়ে সংরক্ষণ করে এক বছর পর্যন্ত খাওয়া যায়। শুকনো ডুমুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

শুকনো ডুমুর খাওয়ার নিয়ম

শুকনো ডুমুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। যার মধ্যে ড্রাই ফুড ও শুকনো ফল রয়েছে। আমরা চাইলে শুকনো ফল হিসেবে ডুমুর খেতে পারি এটি অনেক উপকারী একটি ফল। কাঁচা ডুমুর খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি ভাবে শুকনো ডুমুরো খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। চলুন শুকনো ডুমুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

আপনি কি জানেন শুকনো ডুমুরে রয়েছে প্রচুর পরিমান ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন B6 ও ভিটামিন K এর মত পুষ্টি উপাদান যেগুলো মানব শরিলের জন্য খুব উপকারি যা শরীর ও মনকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কাঁচা ডুমুর গাছ থেকে পেড়ে সেগুলোকে রোদে শুকিয়ে এক বছর পর্যন্ত রাখা যায় তবে এক থেকে দুই মাস সংরক্ষণ করা ভালো কারণ বেশিদিন রাখলে পোকা ধরে নষ্ট হতে পারে।

শুক্র ডুমুরে রয়েছে অনেক উপকারিতা শুকনো ডুমুর দুখণ্ড করে রাতে এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওই ডুমুর সকালে পানি সহকারে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। তবে আমরা জানি অতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়া বা কোন কিছু করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে শুক্র ডুমুর প্রতিদিন খাওয়া যাবেনা এতে করে হজম শক্তি কমে যেতে পারে, এবং হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুকনো ডুমুর দুইটার বেশি না খাওয়া ভালো।

বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের জন্য শুকনো ডুমুর বেশ উপকারী। শুকনো ডুমুর এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চা চামচ মধু ও একটি শুক্লোন ডুমুর কুচি কুচি করে কেটে একসাথে খেলে যৌন সক্ষমতার বৃদ্ধি পাবে এছাড়াও যৌন স্বাস্থ্যের উপকার হবে। এছাড়াও শুকনো ডুমুর ও এক গ্লাস দুধ গরম করে খেতে হবে তাহলে শুকনো কাশি ও বুকে কফ জমা এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। শুকনো ডুমুর নিয়মিত খেলে হার্টের কার্যক্রমে উপকারী প্রভাব ফেলতে পারে।

এছাড়াও মেয়েদের অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হলে শুকনো ডুমুর বেশ উপকারী একটি খাদ্য। এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চামচ চিনি এবং মধু মিশিয়ে খেলে ঋতুস্রাব ধীরে ধীরে কমে আসবে। এছাড়াও যে কোন তরকারি যেমন মাছের তরকারি মাংসের তরকারি অথবা চড়চড়ি এইসবের ভিতরে ডুমুর মাংস দিয়ে রান্না করা যায় এর থেকে প্রচুর পুষ্টির উপাদান পাওয়া যায়।ডুমুর ফল রান্না করার পদ্ধতি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হোল।

ডুমুর ফল রান্নার পদ্ধতি

ডুমুর ফল রান্না করার পদ্ধতি আমরা অনেকে জানি আবার অনেকে জানি না। এই আর্টিকেলটিতে আমি আপনাদের শিখাবো পুষ্টিগুণে ভরা ডুমুর ফল কিভাবে সুস্বাদু ভাবে রান্না করা যাবে। কারণ ডুমুর ফল খাওয়া আমাদের প্রত্যেকের জন্য জরুরী, এটা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহযোগিতা করে এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের জন্য এটা বেশ একটি খাবার তাই আমাদের এটা সুস্বাদু ভাবে রান্না করতে শিখা খুব জরুরী। ডুমুর ফল রান্না করার পদ্ধতি সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হলো।

ডুমুর ফল কেটে নিয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে, আরেকটি কথা এটাতে অনেক আয়রনও আছে। ডুমুর ভিজিয়ে রাখার পর আলু কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে তেল গরম করে নিতে হবে এবং তেজপাতা ও শুক্র মরিচ এবং জিরে দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিতে হবে। এরপর সামান্য আদাপাটা, হলুদ এবং জিরে গুড়ো সাধ মতো লবন দিয়ে সামান্য পরিমাণে চিনি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে পানি দিতে হবে। এবং ভেজে রাখা আলুগুলো দিতে হবে।

এরপর আলু আর ডুমুর গুলো কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নেওয়ার পরে সিদ্ধ হয়ে গেলে তার মধ্যে সামান্য কিছু পরিমাণের ঘি এবং গরম মসলা দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। এতে করে ডুমুর রান্না অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে আমরা চাইলে মাছ দিয়ে ডুমুর রান্না করতে পারব। তবে খেয়াল রাখতে হবে অনেকেই ডুমুর রান্না করার আগে একটু ভাপিয়ে নেই এতে করে ডুমুরের কষটা উঠে যায় এবং এতে করে ডুমুর ফলের ভেতরে থাকা উপযুক্ত পুষ্টি গুনাগুন নষ্ট হয়। ডুমুরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

ডুমুর ফল এর পুষ্টি উপাদান

ডুমুর ফল এর পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা অনেক কিছু জানতে পেরেছি। এখন আমি আপনাদের জানাবো ডুমুর ফলের সকল পুষ্টি উপাদান এবং আমি আপনাদের জানাবো ডুমুর ফল মানব শরীরের জন্য কতটা উপকারী এবং এটি খেলে তার পাওয়া যায়। ডুমুর ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যা হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে। এবং হাড় জনিত বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।

 ডুমরে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় সম্পর্কিত বিভিন্ন অসুস্থতা থেকে রক্ষা পেতে সহযোগিতা করে থাকে। এছাড়াও আপনি যদি অধিক ওজন নিয়ে চিন্তা করতে থাকেন তাহলে ডুমুর হতে পারে আপনার জন্য ওজন ধরানোর একটু ঔষধ যেটা নিয়মিত খেলে আপনার ওজন সমস্যা দূর হবে। এছাড়াও কাঁচা ডুমুর ফলে রয়েছে অনেক উপকারিতা, কাঁচা ডুমুর খাওয়ার ৯ টি উপকারিতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো। চলুন জেনে নেই কাঁচা ডুমুর ফল খাওয়ার ৯ উপকারিতা।

কাঁচা ডুমুর খাওয়ার ৯ কি উপকারিতা

কাঁচা ডুমুর খাওয়ার ৯ টি উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি ডুমুরে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান যা আমাদের মানব শরীরের জন্য কল্যাণকর এবং শরীর ও মনকে ভালো রাখতে নিয়মিত ডুমুর খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডুমুরে রয়েছে অনেক গুষ্টি উপাদান তাই এটা আমরা বিভিন্নভাবে খেতে পারি ডুমুর শুকিয়ে, রান্না করে এবং আমরা চাইলে কাঁচা ডুমুর খেতে পারি কারণ কাঁচা ডুমুরে রয়েছে বিভিন্ন প্রস্তু উপাদান। কাঁচা ডুমুর এর উপকারিতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

কাঁচা ডুমুর খাওয়ার ৯ উপকারিতাঃ
  • কাঁচা ডুমুর ওজন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেঃ পর্যাপ্ত পরিমাণে ডুমুর নিয়মিত খেলে ওজন কমাতে সহযোগিতা করে। ডুমুরের ফাইবার থাকার কারণে এটি ভাজা খাবার থেকে দূরে থাকার একটি উপায়, হালকা টিফিনের জন্য ডুমুর খেতে পারেন এতে আপনার পেট ভরবে এবং আপনার শরীরকে যথেষ্ট যুক্তি দিবে এবং আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
  • ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়ঃ ডুমুর একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার হওয়ার ফলে মেডিকেল রেডিক্যাল ও ক্রমিক প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করে। রেডিক্যাল ক্যান্সার, ডায়রিয়া ও হৃদরোগ সহ দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলোর জন্য দায়ী। কাঁচা ডুমুর কে এই দীর্ঘ স্থায়ী স্বাস্থ্য অবস্থার একটি প্রতিরোধক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধকঃ ডুমুর উচ্চ ভাইবার সমৃদ্ধ খাবার হওয়ার কারণে অন্ত্রের গতিশীলতার জন্য খুব ভালো এবং এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে পারে।
  • কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ করেঃ কিছু ডুমুর ফল পানিতে ফুটিয়ে নিন এবং সেই পানিটি পান করুন। এই পানি কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ করতে সহযোগিতা করে।
  • প্রজনন ব্যবস্থাকে সচল রাখেঃ ডুমুরে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, দস্তা ও ম্যাঙ্গানিজের মত অনেকগুলো খনিজ উপাদান যা প্রাণবন্ততা এবং উর্বরতা বজায় রাখতে সহযোগিতা করে। কাঁচা ডুমুর অথবা শুকনো ডুমুর দুধে ভিজিয়ে এক চামচ চিনি ও মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে আপনি যদি গর্ভবতী হন বা একটি শিশু জন্মদানের পরিকল্পনা করেন তবে আপনার খাবারের তালিকায় ডুমুর রাখা অত্যন্ত জরুরী।
  • হৃদপিন্ডের জন্য একটি উপযুক্ত পুষ্টি সম্পূর্ণ খাদ্যঃ ডুমুর রক্তে ট্রাই গ্লিসারাইডের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ট্রাই গ্লিসারাই ড হ হৃদ রোগের জন্য দায়ী কারণ তারা রক্তনালীর মধ্যে জমাট সৃষ্টি করে যার ফলে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা দেয়।
  • হাড় শক্ত করেঃ স্বার্থপর ও মজবুত হাড়ের জন্য যে সকল জিনিস প্রয়োজন হয় ক্যালসিয়াম। ডুমুর হল ক্যালসিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক উৎস ডুমুরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা আমাদের হাড় শক্ত করতে সহায়তা করে।
  • রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ আমরা জানি ডুমুরে রয়েছে উপস্থিত ক্লোরোজেনিক এসিড ডায়াবেটিক রক্তের শর্করার মাত্রা হাসে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও ডুমুরের প্রচুর পটাশিয়াম পাওয়া যায় যার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • রক্তচাপ এবং বার্ধক্য নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ কাচা ডুমুর পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে সোডিয়ামের প্রভাবে নিয়ন্ত্রণ করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও পর্যাপ্ত লোহা, ইস্টারজেন ইত্যাদি সরবরাহ করে বয়সের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি আপনার দেহের হরমোন গুলিকে পরীক্ষার মধ্যে রাখে এবং আপনার শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। কাঁচা ডুমুর ত্বক এবং চুল এবং নখ ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে।

শেষ কথাঃ কাঁচা ডুমুর খাওয়ার ৯ টি উপকারিতা-ডুমুর ফলের পুষ্টি উপাদান

প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদের জানানর ছেস্তা করেছি ডুমুর খাওয়ার ৯ টি উপকারিতা এবং ডুমুর ফলের পুষ্টি উপাদান গুলো কি কি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে ইতোমধ্যে আপনি নিশ্চয়ই জেনে গেছেন কাচা ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা এবং এটি তে থাকা সকল পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে এবং আপনি আরো জানতে পেরেছেন ডুমুর খাওয়ার নিয়ম এবং ডুমুর ফল রান্না করার নিয়ম।

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটিতে আমি আপনাদের কাচার ডুমুর খাওয়ার ৯ টি উপকারিতা, এবং ডুমুরে থাকা সকল পুষ্টি উপাদান জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি আমি আপনাদের ডুমুর সম্পর্কিত সকল তথ্য এবং ডুমুর ফল সম্বন্ধে সবকিছু বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। আপনারা সবাই নিয়মিত ডুমুর ফল খাবেন। ভাষাগত ভুল ত্রুটিগুলি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ধন্যবাদ।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url